Tuesday, September 20, 2011

নেপথ্যের অন্তরালে

                         নির্ঝর চক্রবর্তী
অন্ধকার একটা ঘরের মধ্যে
জ্বলজ্বল করছে দুটি চোখ,
সার্চলাইটের মত I
ঘরের মধ্যে রুমহিটারের
গনগনে তাপ I
বাইরের তাপমাত্রা কত হবে?
দুই, তিন, বা তারও কম,
এর মধ্যে আবার বৃষ্টি,
সারাটা দিনই একদম বিচ্ছিরি I
দুরের মাঠটাতে একটা
ক্রিকেট ম্যাচ হবার কথা ছিল,
কিন্তু হলো না I
তাতে দু:খের কিছু নেই I
পৃথিবীতে অনেক খেলাই
শুরু হবার আগেই ভেস্তে যায় I
সবটা যে বৃষ্টির জন্যে তা নয় I
কোনটা বৃষ্টি না হবার জন্যেও বন্ধ হয় !
(বৃষ্টিরও তো কম প্রকারভেদ না !)
তাতে বৃষ্টির কি দোষ?
না না, দোষটা বৃষ্টির নয় !
দোষটা যে কার তা জানি না,
অবশ্য জানবার চেষ্টাও করিনি I
তবে এটুকু বুঝেছি, বৃষ্টি
একটা উপলক্ষ্য মাত্র I
কষাইখানার মাংস
কেনাবেচার হিসেবের মধ্যে বৃষ্টি
একটা সুচিছিদ্র ক্যামেরার মত,
যে দেখিয়ে দেয়
আলো সরলরেখায় যায় I
কিন্তু তার নেপথ্যে লুকিয়ে থাকে
আরও কত কি?

নেপথ্যের অন্তরালে কোন
জীবন্তখনি লুকিয়ে আছে
তা খোঁজার একটা চেষ্টা
করা যাক না ! এইভাবে
নেপথ্যের পর নেপথ্য
খুঁজে খুঁজতে নতুন
আবিস্কার করতে পারবে I

আবিস্কার করতে পারবে
ভালোবাসা ড্রেনের জলের সঙ্গে
মিশে গেলে, ব্যাংগুলো
লাফ দেয় কেন?
প্রজাপতির ডানা কেটে নিলে
তার নতুন ডানা জন্মায় কিনা?

No comments:

Post a Comment